বরখাস্ত হলেন ইউএসএআইডির মহাপরিদর্শক

Media

যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থার (ইউএসএআইডি) মহাপরিদর্শক পল মার্টিনকে বরখাস্ত করা হয়েছে। মঙ্গলবার বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে ইউএসএআইডির এক কর্মকর্তা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

এক প্রতিবেদনে বলা হয়, পল মার্টিনকে গতকালই বরখাস্ত করা হয়েছে। যেখানে বরখাস্তের বিষয়টি তাকে মেইল করে জানানো হয়।

সিএনএনের প্রকাশিত এক প্রতিবেদনটিতে বলা হয়েছে, ট্রাম্প প্রশাসনের নানা পদক্ষেপ ইউএসএআইডির সক্ষমতাকে পঙ্গু করে দিয়েছে। ফলে সংস্থাটি প্রায় ৮ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলার সমমূল্যের অব্যয়িত সহায়তার সঠিক তদারকি করতে পারছে না।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেওয়ার পর ডোনাল্ড ট্রাম্প ইউএসএআইডির ওপর খড়্গহস্ত হন। তিনি সংস্থাটি ভেঙে দিতে চান বলে জানান।

ইউএসএআইডির মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র মূলত বিদেশে তার উন্নয়নমূলক কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকে। সংস্থাটির কর্মীর সংখ্যা ১০ হাজারের বেশি। যেখানে তাদের মধ্যে দুই-তৃতীয়াংশই বিভিন্ন দেশে কাজ করেন।

এদিকে ট্রাম্পের পরিকল্পনা হলো, ইউএসএআইডির এই বিপুলসংখ্যক কর্মীর মধ্যে অপরিহার্য হিসেবে বিবেচিত মাত্র ৬১১ জনকে চাকরিতে বহাল রাখা হবে। আর ২ হাজার ২০০ কর্মীকে সবেতনে ছুটিতে পাঠানো হবে।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট মনে করেন, ইউএসএআইডি দুর্নীতি ও জালিয়াতি করে। যদিও ট্রাম্পের এই পরিকল্পনা আপাতত আটকে দিয়েছেন ওয়াশিংটনের ডিস্ট্রিক্ট আদালত।

ইউএসএআইডিতে কাটছাঁট পদক্ষেপের একটা বড় অংশ তদারক করছেন বিশ্বের শীর্ষ ধনী ইলন মাস্ক। ট্রাম্পের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক থাকা এই ব্যবসায়ী যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় আমলাতন্ত্রকে সংকুচিত করার জন্য মার্কিন প্রেসিডেন্টের প্রচেষ্টায় নেতৃত্ব দিচ্ছেন।

 

ইউএসএআইডির ৬০ শীর্ষ কর্মকর্তাকে ছুটিতে পাঠিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন

যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা ইউএসএআইডির প্রায় ৬০ জন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে সবেতন ছুটিতে পাঠিয়েছে দেশটির প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন। যেখানে মার্কিন সরকার বিশ্বজুড়ে ইউএসএআইডির সব প্রকল্পের কার্যক্রম স্থগিত করার নির্দেশ দেওয়ার পর এমন পদক্ষেপ নেওয়া হলো।

এর আগে গত শনিবার বিশ্বজুড়ে মার্কিন সহায়তার বরাদ্দ কত হবে, তা ট্রাম্পের ‘আমেরিকা ফার্স্ট’ নীতির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে নির্ধারণের প্রচেষ্টায় শামিল হতে ইউএসএআইডি কর্মীদের আহ্বান জানিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন। পাশাপাশি কোনো কর্মী প্রশাসনের আদেশ উপেক্ষা করলে তার বিরুদ্ধে শৃঙ্খলা লঙ্ঘনের দায়ে ব্যবস্থা নেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়েছে।

সোমবার সন্ধ্যায় ইউএসএআইডির কর্মীদের কাছে অভ্যন্তরীণভাবে একটি চিঠি পাঠানো হয়েছে। এতে বলা হয়, নতুন প্রশাসন ইউএসএআইডিতে এমন বেশ কিছু পদক্ষেপ শনাক্ত করেছে, যেখানে প্রেসিডেন্টের নির্বাহী আদেশ ও মার্কিন জনগণের চাওয়াকে এড়িয়ে যাওয়ার সুযোগ আছে।