বিতর্কিত আম্পায়ারিং নিয়ে যা বললেন হৃদয়

news-banner

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্বের ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে তীরে এসে তরি ডুবাল বাংলাদেশ। ১১৪ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে মাত্র ৪ রানে হেরেছেন শান্ত-সাকিবরা। কিন্তু ম্যাচে আম্পায়ারের বিতর্কিত সিদ্ধান্ত নিয়ে সবদিক থেকে কঠোর সমালোচনা চলছে। আর এ নিয়ে ম্যাচ শেষে বাংলাদেশ ব্যাটার তাওহিদ হৃদয় প্রশ্ন তুলেছেন।

নিউইয়র্কের নাসাউ কাউন্টি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে গতকাল ‘আম্পায়ারের ভুলে’৪টি রান পায়নি বাংলাদেশ। বাংলাদেশ ম্যাচটি হেরেছেও ৪ রানেই। বাংলাদেশের দলের সর্বোচ্চ রানের ইনিংস খেলা হৃদয় সংবাদ সম্মেলনে রাখঢাক না করেই আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত নিয়ে মন্তব্য করেছেন।

ঘটনাটি বাংলাদেশ ইনিংসের ১৭তম ওভারের। পেসার ওটনিল বার্টম্যানের বল মাহমুদউল্লাহর পায়ে লেগে চলে যায় বাউন্ডারির বাইরে। এর আগেই অবশ্য এলবিডব্লুর আবেদনে আঙুল তুলে দেন আম্পায়ার। এরপর মাহমুদউল্লাহ রিভিউ নিলে দেখা যায়, বল স্টাম্পে আঘাত করেনি। পরে আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত পাল্টে যায়। কিন্তু নিয়ম অনুযায়ী, আম্পায়ার আউট দেওয়ার পর বল ডেড হয়ে যাওয়ায় লেগ বাই হিসেবে ৪ রান পায়নি বাংলাদেশ।

হৃদয় ম্যাচ শেষে এ নিয়ে বলেছেন, ‘সত্যি বলতে, সেটি ভালো সিদ্ধান্ত ছিল না। টাইট ম্যাচে আমাদের জন্য ভালো কিছু ছিল না সেটি। আমার মতে,আম্পায়ার আউট দিয়েছেন, কিন্তু আমাদের জন্য বিষয়টা কঠিন ছিল। ওই চারটি রান পেলে ম্যাচের চেহারা ভিন্ন হতে পারত। আমার আর কিছু বলার নেই। নিয়ম তো আইসিসি কী করেছে, এটা আসলে তো আমাদের হাতে নেই। কিন্তু ওই সময় ওই চারটি রান খুব গুরুত্বপূর্ণ ছিল আমাদের জন্য।’

হৃদয় আরও বলেন, ‘আমি মনে করি যে আম্পায়ার কল দিয়েছেন, আম্পায়ার কল দিতেই পারেন। তারাও মানুষ, ভুল হতেই পারে। কিন্তু আমাদের আরও দু-একটি ওয়াইড ছিল, যেগুলো ওয়াইড দেয়নি। এখানে এ রকম ভেন্যুতে খেলা, যেখানে রান হচ্ছে না, লো-স্কোরিং ম্যাচ হচ্ছে, সেই জায়গায় একটি-দুটি রানও অনেক বড় ব্যাপার।’

তিনি যোগ করেন,‘আমি মনে করি, ওই চারটি রান বা দুটি ওয়াইড, খুব ক্লোজ কল ছিল। এমনকি আমার আউটও আম্পায়ার্স কল ছিল। আমার কাছে মনে হয়, এই জায়গাগুলোয় উন্নতির সুযোগ আছে। আইসিসি যে নিয়ম করেছে, এটাতে তো আমাদের হাত নেই। আমার মনে হয়, যেটা হয়েছে, হয়ে গেছে।’