যুক্তরাষ্ট্রে গোয়েন্দা সংস্থার শতাধিক কর্মী ছাঁটাই

Media

যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থার শতাধিক কর্মীকে বরখাস্ত করেছে ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন। আপত্তিকর মেসেজ আদান-প্রদানের অভিযোগ এনে ছাঁটাই করা হয় তাদের। তুলসী গ্যাবার্ড জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থার দায়িত্ব নিয়েই এই নির্দেশনা দিয়েছেন।

গ্যাবার্ড বলেছেন, গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর বিভিন্ন পদ থেকে শতাধিক কর্মীকে ছাটাই করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে চ্যাটিংয়ে আপত্তিকর কথাবার্তা ও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ফাঁসের অভিযোগ রয়েছে।

ফক্স নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাতকারে গ্যাবার্ড বলেন, জাতীয় নিরাপাত্তা প্রশাসনে থেকে তারা বিশ্বাসভঙ্গ করেছে এবং পেশাদারিত্বর মৌলিক স্থান থেকে বিচ্যুত হয়েছেন। সেজন্যই তিনি তাদের বরখাস্ত করেছেন।

এদিকে ডিরেক্টবর অব ন্যাশনাল ইন্টিলিজেন্স এর দপ্তরের একজন মুখপাত্র বলেন, গ্যাবার্ড সবগুলো সংস্থায় এমন কর্মীদের খুঁজে বের করার নির্দেশ দিয়েছেন যারা ‘অশ্লীল. পর্নোগ্রাফি চ্যাটরুমে শেয়ার করেন’। তাদের বরখাস্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন। গ্যাবার্ড বলেছেন, ‘প্রশাসন পরিস্কার’ করার তার এই অভিযান চলবে।


ইউএসএআইডির ১৬০০ কর্মীকে ছাঁটাই করছে ট্রাম্প প্রশাসন

প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন সরকারি ব্যয় সংকোচনের লক্ষ্যে বেশিরভাগ ইউএসএআইডির কর্মীকে ছুটিতে পাঠিয়েছে বা ছাঁটাই করছে । স্থানীয় সময় রবিবার মধ্যরাতের মধ্যে তাদের এই নোটিস পাঠানো হয়।

এ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা ইউএসএআইডি (ইউএস এজেন্সি ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট)-এর ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ফেডারেল কর্মীসংখ্যা এবং ব্যয় কমানোর লক্ষ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থানরত সংস্থার প্রায় ১৬০০ কর্মীকে ছাঁটাই করা হবে। এ ছাড়াও প্রায় ৪ হাজার ২০০ কর্মীকে ছুটিতে পাঠানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে থাকা বা নেতৃত্বের সঙ্গে যুক্ত ‘নির্ধারিত কর্মীরা’ বাদে ইউএসএআইডি’র সরাসরি নিয়োগকৃত বিশ্বব্যাপী অন্যান্য সকল কর্মীকে প্রশাসনিক ছুটিতে পাঠানো হবে।

পদক্ষেপটি ট্রাম্পের ইউএসএআইডি ভেঙে ফেলার প্রচেষ্টার একটি ধাপ। বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন মানবিক ও উন্নয়নমূলক কর্মসূচি পরিচালনা করায় সংস্থাটির ১০ সহস্রাধিক কর্মচারী নিয়োজিত রয়েছে। এই মাসের শুরুতে সংস্থাটি ঘোষণা করে সব কর্মীকে প্রশাসনিক ছুটিতে পাঠানো হবে, তবে এই নির্দেশিকা আইনি চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়। কিন্তু শুক্রবার, একজন ফেডারেল বিচারক ইউএসএইড ব্যয় সংকুচিত করার পরিকল্পনা বাস্তবায়নের ওপর ট্রাম্প প্রশাসনের স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করে নেন।

এর আগে ইউএসএআইডির প্রায় ৬০ জন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে সবেতন ছুটিতে পাঠিয়েছে দেশটির প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন। যেখানে মার্কিন সরকার বিশ্বজুড়ে ইউএসএআইডির সব প্রকল্পের কার্যক্রম স্থগিত করার নির্দেশ দেওয়ার পর এমন পদক্ষেপ নেওয়া হলো।

বিশ্বজুড়ে মার্কিন সহায়তার বরাদ্দ কত হবে, তা ট্রাম্পের ‘আমেরিকা ফার্স্ট’ নীতির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে নির্ধারণের প্রচেষ্টায় শামিল হতে ইউএসএআইডি কর্মীদের আহ্বান জানিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন।

পাশাপাশি কোনো কর্মী প্রশাসনের আদেশ উপেক্ষা করলে তার বিরুদ্ধে শৃঙ্খলা লঙ্ঘনের দায়ে ব্যবস্থা নেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়েছে।

সেবারও ইউএসএআইডির কর্মীদের কাছে অভ্যন্তরীণভাবে একটি চিঠি পাঠানো হয়েছে। এতে বলা হয়, নতুন প্রশাসন ইউএসএআইডিতে এমন বেশ কিছু পদক্ষেপ শনাক্ত করেছে, যেখানে প্রেসিডেন্টের নির্বাহী আদেশ ও মার্কিন জনগণের চাওয়াকে এড়িয়ে যাওয়ার সুযোগ আছে।