নিউইয়র্কের ওজোন পার্ক রবিবার রাতে দুর্বৃত্তের গুলিতে গুরুতর আহত হয়েছেন এক বাংলাদেশি যুবক। আহত বাংলাদেশির নাম মামুনুর রশিদ। সেই দুর্বৃত্ত তার কাছ থেকে মানিব্যাগ ও মুঠোফোন ছিনিয়ে নিতে চাইলে তিনি চিৎকার করলে গুলি করা হয়। নিউইয়র্কের একটি হাসপাতালে তাকে ভর্তি করা হয়েছে।
মামুনুর রশিদের বাড়ি বাংলাদেশি অধ্যুষিত ওজোন পার্ক এলাকার ১০১ অ্যাভিনিউর ৭৪ স্ট্রিটের কাছে। বাংলাদেশে তার গ্রামের বাড়ি নোয়াখালী জেলায়।
রবিবার রাত ১১টার দিকে মামুনুর বাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে মুঠোফোনে কথা বলছিলেন। এ সময় মুখোশধারী এক ব্যক্তি এসে তার কাছে থাকা মানিব্যাগ ও মুঠোফোন ছিনিয়ে নিতে চায়। মামুন ভয়ে চিৎকার করলে সেই ছিনতাইকারী গুলি করে পালিয়ে যায়।
এ ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী কমিউনিটি অ্যাক্টিভিস্ট অনিক রাজ বলেন, গুলিবিদ্ধ হয়ে মামুনুর রশিদ রাস্তায় পড়ে থাকলে একই এলাকায় বসবাসকারী বিয়ানীবাজারের একজন মুরব্বি পুলিশে ফোন করেন। খবর পেয়ে নিউইয়র্ক পুলিশ বিভাগ (এনওয়াইপিডি) অ্যাম্বুলেন্স নিয়ে ঘটনাস্থলে আসে।
তার বন্ধু ফাহাদ হোসাইন বলেন, আহত অবস্থায় পুলিশ মামুনুরকে উদ্ধার করে জ্যামাইকা হাসপাতালে ভর্তি করে। তাঁর অবস্থা সংকটাপন্ন নয় বলে হাসপাতাল থেকে জানানো হয়েছে।
তবে এই ঘটনায় এখন পর্যন্ত কেউ গ্রেপ্তার হয়নি বলে এনওয়াইপিডি সূত্রে জানা গেছে।
এনওয়াইপিডি তদন্তের স্বার্থে ওই জায়গায় মানুষের চলাচল নিষিদ্ধ করেছে। এনওয়াইপিডি জানিয়েছে, মামুনুর রশিদকে দুটি গুলি করা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত চলছে। এ ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
এর আগে নিউইয়র্কের ম্যানহাটনে যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম বৃহৎ স্বাস্থ্যবিমা প্রতিষ্ঠান ইউনাইটেড হেলথকেয়ারের সিইও ব্রায়ান থম্পসনকে এক বন্দুকধারী গুলি করে হত্যা করা হয়।
ব্রায়ান থম্পসনকে খুনের ঘটনায় লুইজি মাঞ্জিওনিকে নিউইয়র্কের আদালতে ফেডারেল সরকারের চারটি মামলায় অভিযুক্ত হয়েছে। ২৬ বছর বয়সী মাঞ্জিওনির বিরুদ্ধে হওয়া এর একটি মৃত্যুদণ্ডযোগ্য।
পেনসিলভেইনয়া থেকে বৃহস্পতিবার মাঞ্জিওনিকে নিউইয়র্কে হস্তান্তর করার পর তার বিরুদ্ধে এসব মামলা দায়ের হয়। পরে পেনসিলভেইনিয়া থেকে মাঞ্জিওনিকে নিউইয়র্কের ম্যানহাটনে নিয়ে যাওয়া হয় হেলিকপ্টারে করে।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানায়, কমলা রঙের পোশাক ও হাতকড়া পরা মাঞ্জিওনিকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা ঘিরে রেখে আদালতে নিয়ে যান। মাঞ্জিওনির আইনজীবীরা জামিনের আবেদন দাখিল না করায় আপাতত তিনি কারাগারেই থাকছেন।