ম্যাচটি যেন গতকালের ভারত বনাম পাকিস্তানের পুনরাবৃত্তি। এবার জয়ের অনেক বড় সম্ভাবনা জাগিয়েও বঞ্চিত হল বাংলাদেশ। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ৪ রানে হেরেছে টাইগাররা। অপরদিকে আসরে টানা ৩ ম্যাচ জিতে সুপার এইট প্রায় নিশ্চিত প্রোটিয়াদের।
মাত্র ১১৪ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করা বাংলাদেশে ব্যাটিং ব্যর্থতায় শেষ দিকে চাপে পড়ে যায়। যেখানে শেষ ওভারে দরকার ছিল ১১ রান, হাতে ছিল ৫ উইকেট। তবে ব্যাটিংয়ে ছিলেন প্রতিষ্ঠিত মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও জাকের আলী। কিন্তু স্পিনার কেশভ মাহারাজের বলে জাকের-মাহমুদউল্লাহ দুজনেই আউট হলে বাংলাদেশের আশা শেষ হয়ে যায়।
আজ সোমবার নিউইয়র্কের নাসাউ কাউন্টি ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট স্টেডিয়ামে খেলতে নামে দুদল। যেখানে প্রথমে ব্যাট করা প্রোটিয়াদের দাপুটে বোলিংয়ে বাংলাদেশ ১১৩ রানে থামায়। নির্ধারিত ২০ ওভারে দলটি ৬ উইকেট হারিয়ে এই সংগ্রহ পায়। জবাবে ৭ উইকেট হারিয়ে ১০৯ রানের বেশি করতে পারেনি বাংলাদেশ।
রান তাড়ায় বাংলাদেশের টপঅর্ডারের ৪ ব্যাটারেই ব্যর্থতার পরিচয় দেন। টেস্ট মেজাজে খেলা ওপেনার হিসেবে নামা অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত ২৩ বলে ১৪ রান করেন। আরেক ওপেনার তানজিদ হাসান ও লিটন দাস ৯ রান করে করেন। বাজে সময়ের মধ্যদিয়ে যাওয়া সাকিব আল হাসান ৩ রানে আউট হন।
এরপর তাওহিদ হৃদয় ও মাহমুদউল্লাহ হাল ধরার চেষ্টা করেন। তারা ৪৫ বলে ৪৪ রান তোলেন। তবে দারুণ খেলতে থাকা হৃদয় রাবাদার বলে এলবি হলে ছন্দপতন হয়। এই ব্যাটার ৩৪ বলে ২টি চার ও সমান ছক্কায় ৩৭ রান করেন। আর শেষ ওভারে আউট হওয়া মাহমুদউল্লাহ ২৭ বলে ২টি চারে ২০ রান করেন।
প্রোটিয়া বোলারদের মধ্যে সর্বোচ্চ ৩টি উইকেট পান মাহারাজ। এছাড়া ২টি করে উইকেট দখল করেন রাবাদা ও আনরিখ নরকিয়া।
টস জিতে এর আগে প্রথমে ব্যাট করতে নামা দ. আফ্রিকার ইনিংসে শুরুতে ধস নামান পেসার তানজিম হাসান। তিনি প্রোটিয়া টপঅর্ডার রেজা হেরড্রিক্স, কুইন্টন ডি কক ও ট্রিস্টান স্টাবসবে আউট করেন। দলটির হয়ে সর্বোচ্চ ৪৪ বলে ৪৬ রান করেন হেনরিখ ক্লাসেন। ডেভিড মিলারের ব্যাট থেকে আসের ২৯ রান।
বাংলাদেশ বোলারদের মধ্যে তানজিম সর্বোচ্চ ৩টি উইকেট পান। তাসকিন আহমেদ ২টি উইকেট দখল করেন।