শ্রীলঙ্কাকে ২ উইকেটে হারিয়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ অভিযান শুরু করেছে বাংলাদেশ। নাটকীয় ম্যাচে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের হাত ধরে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় টাইগাররা।
ডালাসের গ্র্যান্ড প্রেইরি স্টেডিয়ামে ‘ডি’ গ্রুপের ম্যাচে খেলতে নামে বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কা। প্রথমে ব্যাট করা শ্রীলংকাকে ১২৪ রানে থামায় বাংলাদেশ। ৯ উইকেট হারিয়ে এই সংগ্রহ গড়ে লংকানরা। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ৮ উইকেট হারিয়ে ও এক ওভার বাকি থাকতে জয়ের বন্দরে পৌঁছে বাংলাদেশ।
বাংলাদেশের শুরুটা অবশ্য ভালো হয়নি। ১২৫ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই টপঅর্ডারের ৩ উইকেট হারায়। প্রথম ওভারেই শূন্য রানে ধনাঞ্জয়া ডি সিলভার বলে আউট হন সৌম্য। এরপর তানজিদ হাসানকে বোল্ড করেন নুয়ান থুশারা। এই বোলারের দ্বিতীয় শিকার হয়ে ৭ রানে ফেরেন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত।
চতুর্থ উইকেট জুটিতে হাল ধরেন লিটন দাস ও তাওহিদ হৃদয়। তারা ৩৮ বলে ৬৩ রান তোলেন। কিন্তু উইকেটে ঝড় তোলা হৃদয় অবশেষে ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গার বলে আউট হন। তিনি ২০ বলে একটি চার ও ৪টি ছক্কায় ৪০ রান করেন।
লিটন দাস হাসারাঙ্গার দ্বিতীয় শিকার হয়ে মাঠ ছাড়েন। তিনি ৩৮ বলে ২টি চার ও একটি ছক্কায় ৩৬ রান করেন। এরপর দ্রুত সাকিব আল হাসান (১৪ বলে ৮), রিশাদ হোসেন ও তাসকিন আহমেদ আউট হলে খেলায় নাটকীয়তা মোড় নেয়। তবে সব শঙ্কাকে দূরে ঠেলে বাংলাদেশকে জয় পাইয়ে দেন মাহমুদউল্লাহ। তিনি ১৩ বলে একটি ছক্কায় ১৬ রানে অপরাজিত থাকেন।
নুয়ান থুশারা ৪টি ও হাসারাঙ্গা ২টি উইকেট পান।
টস হেরে এর আগে প্রথমে ব্যাটিংয়ে নামা শ্রীলংকার প্রথম উইকেট শিকার করেন তাসকিন আহমেদ। ব্যক্তিগত ১০ রানে থাকা কুশল মেন্ডিসকে বোল্ড করেন এই পেসার। এরপর কামিন্দু মেন্ডিসকে বেশিক্ষণ টিকতে দেননি মোস্তাফিজ। তানজিমের ক্যাচে ফেরান তাকে।
লঙ্কানদের তৃতীয় উইকেটও তুলে নেন মোস্তাফিজুর রহমান। উইকেটে ঝড় তোলা ওপেনার পাথুম নিশাঙ্কাকে অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত ক্যাচে ফেরান তিনি। নিশাঙ্কা ২৮ বলে ৭টি চার ও একটি ছক্কায় ৪৭ রান করেছেন।
লঙ্কার ইনিংসে পর পর দুই বলে উইকেট নিয়ে হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনা তৈরি করেন রিশাদ হোসেন। ১৪তম ওভারের প্রথম বলে চারিথ আসালাঙ্কাকে (১৯) ফেরান, পরের বলেই শূন্য রানে ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গাকে আউট করেন এই লেগস্পিনার। তবে নিজের পরের প্রথম বলেই ফের উইকেটের দেখা পান রিশাদ। এবার ২১ রানে থাকা ধনাঞ্জয়া ডি সিলভাকে ফেরান তিনি।
তাসকিন নিজের শেষ ওভারে ফের উইকেটের দেখা পান। উইকেটকিপার লিটন দাসের ক্যাচে দাসুন শানাকাকে আউট করেন এই পেসার। আর মহেশ থিকশানাকে ফিরিয়ে তৃতীয় উইকেট দখল করেন মোস্তাফিজ। এরপর নিজের শেষ ও ইনিংসের শেষ ওভারে উইকেটের দেখা পান তানজিম হাসান সাকিব। অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউসকে মোস্তাফিজের ক্যাচে ১৬ রানে ফেরান এই ডানহাতি পেসার।
বাংলাদেশি বোলারদের মধ্যে ৩টি করে উইকেট পান মোস্তাফিজ ও রিশাদ। ২টি উইকেট দখল করেন তাসকিন।