মাগুরায় ধর্ষণের শিকার শিশুটি মারা গেছে

Media

মাগুরায় ধর্ষণের শিকার সেই শিশুটি মারা গেছে। আজ বাংলাদেশের স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার বেলা ১টার দিকে তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়েছে (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।

ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালের (সিএমএইচ) পেডিয়াট্রিক নিউরোলজি বিভাগের অধ্যাপক কর্নেল নাজমুল হামিদ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

এ নিয়ে কর্নেল নাজমুল হামিদ বলেন, আজ সকালে দুই দফায় শিশুটির কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হয়। সিপিআর দেওয়ার পর তার হৃৎস্পন্দন ফিরে আসে। কিন্তু দুপুর ১২টায় তার আবার কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হয়। এই দফায় সিপিআর দেওয়ার পরও তার হৃৎস্পন্দন আর ফিরে আসেনি। বেলা ১টার দিকে তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়।

বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সিএমএইচে চিকিৎসাধীন মাগুরার নির্যাতিত শিশুটি মারা যাওয়ায় শোক প্রকাশ করেছে। বৃহস্পতিবার বেলা দেড়টার দিকে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে এ তথ্য জানানো হয়।

সেনাবাহিনী পোস্টে জানায়, অত্যন্ত দুঃখ ভারাক্রান্ত হৃদয়ে জানানো যাচ্ছে যে, মাগুরায় নির্যাতিত শিশুটি আজ ১টায় ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেছে। সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল (সিএমএইচ)-এর সর্বাধুনিক চিকিৎসা ব্যবস্থা প্রয়োগ এবং বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা সত্ত্বেও তাকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি।

এতে আরও বলা হয়, শিশুটির আজ সকালে তিনবার কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হয়েছে, দুবার স্থিতিশীল করা গেলেও তৃতীয়বার আর হৃদস্পন্দন ফিরে আসেনি।

এর আগে গত ৮ মার্চ শিশুটিকে সংকটাপন্ন অবস্থায় ঢাকার সিএমএইচে ভর্তি করা হয়।

বাংলাদেশ সেনাবাহিনী শিশুটির শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছে এবং যেকোনো প্রয়োজনে তাদের পাশে থাকার অঙ্গীকার ব্যক্ত করছে। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী শিশুটির বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করছে।

উল্লেখ্য, বোনের বাড়িতে বেড়াতে যাওয়া আট বছরের এই শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা করেছেন শিশুটির মা। শিশুটির ভগ্নিপতি, বোনের শ্বশুর, শাশুড়ি ও ভাশুরকে গ্রেপ্তারের পর রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। শিশুর বোনের শ্বশুরকে সাত দিন, স্বামী, শাশুড়ি ও ভাশুর প্রত্যেকের পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন মাগুরার আদালত।

যুক্তরাষ্ট্র থেকে সবচেয়ে বেশি রেমিট্যান্স এসেছে বাংলাদেশে

যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী বাংলাদেশিরা ফেব্রুয়ারিতে সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স (প্রবাস আয়) পাঠিয়েছেন বলে বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যে উঠে এসেছে। গত মাসে দেশটি থেকে বাংলাদেশে ৪৯১.২৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স এসেছে।

এর আগে গত আগস্ট মাসে রাজনৈতিক পট-পরিবর্তনের পর যুক্তরাষ্ট্র থেকে রেমিট্যান্স প্রবাহ উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে যুক্তরাষ্ট্র দীর্ঘকাল ধরে প্রবাসী আয়ের শীর্ষ উৎস সংযুক্ত আরব আমিরাতকে ছাড়িয়ে গেছে।

গত মাসে সংযুক্ত আরব আমিরাত বাংলাদেশে মোট ৩৩৪.৯৪ মিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়ে দ্বিতীয় স্থানে ছিল। যেখানে সৌদি আরবে সবচেয়ে বেশি বাংলাদেশি অভিবাসী কর্মী বাস করছেন। সেখানকার প্রবাসীরা প্রায় ৩২৮.৮৪ মিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন, যা দেশটিকে তৃতীয় স্থানে রেখেছে।

বাংলাদেশ যুক্তরাজ্যের প্রবাসীদের কাছ থেকে ৩০৫.৫২ মিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স পেয়েছে, যা এই মাসে চতুর্থ সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স প্রেরক দেশ। অন্যদিকে, মালয়েশিয়া পঞ্চম স্থানে রয়েছে। মালয়েশিয়া থেকে প্রবাসীরা ফেব্রুয়ারিতে ১৮৩.৮৭ মিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন। আর বাংলাদেশে রেমিট্যান্স পাঠানোর ক্ষেত্রে শীর্ষ ১০টি দেশের মধ্যে রয়েছে কুয়েত, ওমান, ইতালি, কাতার ও সিঙ্গাপুর।

প্রবাসী বাংলাদেশিরা ফেব্রুয়ারিতে ২,৫২৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন, যা আগের বছরের একই মাসের তুলনায় প্রায় ২৫ শতাংশ বেশি। বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ তথ্য অনুসারে এমনটি জানা গেছে।