বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ, খুলনায় পুলিশসহ নিহত ২

news-banner

শুক্রবারও বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকে ‘প্রার্থনা ও ছাত্র-জনতার গণমিছিল’ কর্মসূচি পালিত হয়েছে। তাতে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের উপস্থিতি ‍ছিল। এ সময় অভিভাবক ও সংস্কৃতিকর্মীরা মানববন্ধন ও মিছিল করেছে। 

ঢাকার ধানমন্ডিতে আবাহনী মাঠের পাশের রাস্তায় শিল্পীরা মানববন্ধন করে। এসময় তারা ছাত্র বিক্ষোভে নিরাপত্তা বাহিনী যেভাবে নির্বিচারে গুলি ছুড়েছে এবং  তাতে হতাহতের ঘটনার বিচার দাবি করে।

শুক্রবার সকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীরা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে অবস্থান নেয় । অপরদিকে জুমার নামাজের পর সাইন্সল্যাব মোড় ও আশপাশ এলাকায় করে শিক্ষার্থীরা।

বেলা সাড়ে ১১টায় ব্র্যাক ও ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীরা আফতাবনগর এলাকায় ৯ দফা দাবি বাস্তবায়নের দাবিতে  মিছিল করে।

জুমার নামাজ শেষে বায়তুল মোকাররম মসজিদে জুমার নামাজ শেষে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের পর মিছিল বের করে কওমি মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা। মিছিলটি পল্টন হয়ে শাহবাগ পৌঁছালে আটকে দেয় পুলিশ। ইসিবি ও মিরপুর-১০ চত্তরে বিক্ষোভ করে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।

সকালে উত্তরায় রাজউক উত্তরা মডেল কলেজের সামনে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেন । এ সময়  অভিভাবকরাদেরও দেখা যায়। বিকেলে বিকেলে উত্তরা ১১ নম্বর সেক্টরে মাইলস্টোন কলেজের সামনে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশ ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে।

খুলনায় পুলিশ সদস্য নিহত

খুলনায় আন্দোলনকারীদের সঙ্গে পুলিশের দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়েছে। সন্ধ্যা ৬টা ১০ মিনিটের দিকে গল্লামারী কাঁচাবাজারে সুমন কুমার ঘরামী (৩৩) নামে একজন পুলিশ সদস্যকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। তিনি খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ লাইন্সে কর্মরত ছিলেন।

হবিগঞ্জে গুলিবিদ্ধ একজনের মৃত্যু

আন্দোলনকারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে মোশতাক মিয়া (২৫) নামে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। তিনি বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (পিডিবি) একটি প্রজেক্টের কর্মী।