বাংলাদেশে ট্রেন লাইনচ্যুত, শিডিউল বিপর্যয়

news-banner

বাংলাদেশে চট্টগ্রাম থেকে জামালপুরগামী একটি ট্রেন লাইনচ্যুত হয়। ৫ ঘন্টায়ও পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়ায় শিডিউল বিপর্যয়ের মধ্যে পড়েছে দেশের রেল সেবা। এই ঘটনায় ৪ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি করা হয়েছে।

রোববার (১৭ মার্চ) স্থানীয় সময় দুপুর ২টার দিকে কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এরপর ঢাকাগামী ৭০৩ মহানগর গোধূলি এক্সপ্রেস এবং ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম অভিমুখী ৭৪২ তূর্ণা এক্সপ্রেসের যাত্রা বাতিল করা হয়। এতে ভোগান্তিতে পড়ে হাজার যাত্রী।

বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাব্যবস্থাপক (পূর্ব) মোহাম্মদ নাজমুল ইসলাম বলেন, হাসানপুর থেকে ৫ কিলোমিটার দূরে নাঙ্গলকোটের আগে ঘটনাটি ঘটেছে। ইঞ্জিন লাইনে আছে। তবে ৬ থেকে ৭টি কোচ লাইনচ্যুত হয়েছে। রিলিফ ট্রেন পাঠানোসহ আরো কিছু প্রাথমিক কাজ আছে, সেগুলো আমরা এই মুহূর্তে করছি।

নাঙ্গলকোট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. দেবদাস দেব বলেন, ট্রেন দুর্ঘটনার দুজন যাত্রীকে আহত অবস্থায় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আনা হয়েছে। তাদের দুজনেই শঙ্কামুক্ত। তারা হলেন- নেত্রকোণার বারোহাট্টা উপজেলার কমলপুর গ্রামের মো. রনি (২৮) এবং কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর উপজেলার সুলতানপুর গ্রামের মান্নানের ছেলে আফজাল (২৯)। তাদের মধ্যে রনি নামের যুবকের বাম পা ভেঙে গেছে। তবে তিনি শঙ্কামুক্ত। এ ছাড়া আমাদের মেডিকেল টিম ঘটনাস্থলে আছে। চারটি অ্যাম্বুলেন্স ঘটনাস্থলে রাখা হয়েছে। আমাদের মেডিকেল টিম জানিয়েছে বড় ধরনের কোনো আঘাতপ্রাপ্ত রোগী নেই।

এদিকে এক্সপ্রেস ট্রেন লাইনচ্যুত হওয়ার ঘটনায় চার সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। বগি লাইনচ্যুত হওয়ার সঠিক কারণ খুঁজে বের করে প্রতিবেদন জমা দিতে ৩ দিনের সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছে।  রোববার (১৭ মার্চ) বিকেলে ৫টার দিকে এসব তথ্য জানান কুমিল্লা রেলওয়ে ঊর্ধ্বতন উপ-সহকারী প্রকৌশলী (পথ) লিয়াকত আলী মজুমদার।

তদন্ত কমিটির সদস্যরা হলেন, রেলওয়ের চট্টগ্রাম বিভাগীয় প্রকৌশলী মো. আবদুল হানিফ, বিভাগীয় পরিবহন কর্মকর্তা আনিসুর রহমান, বিভাগীয় যান্ত্রিক প্রকৌশলী মো. নির্ঝর এবং বিভাগীয় টেলিযোগাযোগ ও সংকেত প্রকৌশলী জাহেদ আরেফিন তন্ময়।