‘একাত্তর আর চব্বিশ আলাদা কিছু নয়’

Media

একাত্তর আর চব্বিশ আলাদা কিছু নয়, এমনটিই বলেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। তার মতে চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে একাত্তরের চেতনা পুনরুজ্জীবিত হয়েছে।

বাংলাদেশ সময় বুধবার স্বাধীনতা দিবসে জাতীয় স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা জানানোর পর বিএনপি নেতা মির্জা আব্বাসের বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় তিনি এ কথা বলেন। তার অভিযোগ, যারা একাত্তর আর চব্বিশকে মুখোমুখি অবস্থানে দাঁড় করাতে চান তাদের উদ্দেশ্য সৎ নয়।

এ নিয়ে নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘ক্ষমতায় বসার জন্য যদি নির্বাচন চাপিয়ে দেওয়া হয়, তা মানা হবে না। একদিকে ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য নির্বাচন চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে, অন্যদিকে ফ্যাসিস্টদের পুনর্বাসনের ষড়যন্ত্র চলছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘সংবিধান আঁকড়ে রেখে পুরোনো বন্দোবস্তেই দেশকে নিয়ে যাওয়ার পাঁয়তারা চলছে।’

এর আগে স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে বুধবার সকাল ৫টা ৫০ মিনিটের দিকে রাষ্ট্রপতি ও ৬টার দিকে প্রধান উপদেষ্টা সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা জানান। এরপর একে একে রাজনৈতিক দল, বিভিন্ন সংগঠনসহ সর্বস্তরের মানুষ সেখানে জাতির স্বাধীনতা লাভের পেছনে আত্মত্যাগকারী বীরদের প্রতি ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান।

 

পদত্যাগ করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম

বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় এবং ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন মো. নাহিদ ইসলাম। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার দুপুরে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

সংবাদমাধ্যম থেকে জানা যায়, আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি নতুন একটি রাজনৈতিক দল আত্মপ্রকাশ করতে যাচ্ছে। দলটির আহ্বায়কের দায়িত্ব নাহিদ ইসলাম নিতে পারেন বলে জানা গেছে।

পদত্যাগপত্রে  প্রধান উপদেষ্টাকে নাহিদ ইসলাম লিখেছেন, ‘আমার সশ্রদ্ধ সালাম গ্রহণ করুন। প্রথমেই আমি জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহিদ ও আহত সহযোদ্ধাদের শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছি। রক্তক্ষয়ী গণ-অভ্যুত্থানের পরে ছাত্র-জনতার আহ্বানে সাড়া দিয়ে পরিবর্তিত নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণের দায়িত্ব গ্রহণ করার জন্য আপনার প্রতি অশেষ কৃতজ্ঞতা। বৈষম্যহীন, ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত উন্নত বাংলাদেশ পড়তে আপনার নেতৃত্বে গঠিত উপদেষ্টা পরিষদে আমাকে সুযোগ দানের জন্য আপনাকে আন্তরিক ধন্যবাদ জ্ঞাপন করছি।’

নাহিদ আরও লেখেন, ‘গত ৮ আগস্ট শপথ নেওয়া উপদেষ্টা পরিষদে আমি ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পাই। নানামুখী চ্যালেঞ্জের মধ্যেও আপনার নেতৃত্বে দায়িত্ব পালনে সদা সচেষ্ট থেকেছি। কিন্তু বর্তমান প্রেক্ষাপটে দেশ ও জাতির বৃহত্তর স্বার্থে আমার ছাত্র-জনতার কাতারে উপস্থিত থাকা উচিত মর্মে আমি মনে করি। ফলে আমি আমার দায়িত্ব থেকে ইস্তফা দেওয়া সমীচীন মনে করছি।’

নাহিদ ইসলাম সবশেষে লেখেন, ‘ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা পদ থেকে অব্যাহতি চাচ্ছি। আমার পদত্যাগপত্র গ্রহণ করতে মহোদয়কে সবিনয় অনুরোধ করছি।’