ইউক্রেনে সামরিক সহায়তা ও গোয়েন্দা তথ্য সরবরাহ পুনরায় শুরু করতে সম্মত হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। রাশিয়ার সাথে ওয়াশিংটনের ৩০ দিনের যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবকে সমর্থন করতে প্রস্তুত বলে কিয়েভের ঘোষণার পর এমনটি জানায় ট্রাম্প প্রশাসন।
মঙ্গলবার সৌদি আরবের জেদ্দায় ইউক্রেনীয় কর্মকর্তাদের সাথে আট ঘন্টারও বেশি সময় ধরে আলোচনার পর, মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও বলেছেন যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এখন রাশিয়ার কাছে প্রস্তাবটি নিয়ে যাবে এবং বলটি এখন মস্কোর কোর্টে।
রুবিও বলেন, ‘আমাদের আশা রাশিয়া যত দ্রুত সম্ভব 'হ্যাঁ' উত্তর দেবে, যাতে আমরা এর দ্বিতীয় পর্যায়ে যেতে পারি, যা প্রকৃত আলোচনা।
ইউক্রেনে ট্রাম্পের যুদ্ধ বিরতির আহ্বান
ইউক্রেন যুদ্ধকে ‘পাগলামি’ আখ্যায়িত করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি ও যুদ্ধ বন্ধে রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে আলোচনার আহ্বানও জানিয়েছেন।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, ট্রাম্পের এই আহ্বানের ফলে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির জেলেনস্কি ও ক্রেমলিন তাদের নিজ নিজ শর্ত তালিকাবদ্ধ করার তাড়না বোধ করছে।
এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের ৫ নভেম্বরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়ী হওয়ার পর ট্রাম্প ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে প্রথমবারের মতো জেলেনস্কির সঙ্গে মুখোমুখি বৈঠকে বসেন। এর কয়েক ঘণ্টার পর ট্রাম্প ওই আহ্বান জানান।
ইউক্রেন যুদ্ধ না বাড়াতে পুতিনের প্রতি ট্রাম্পের আহ্বান
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে ফোন কলে কথা বলেছেন যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এই রিপাবলিকান এ সময় ইউক্রেনে যুদ্ধ আর না বাড়াতে পুতিনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
রবিবার মার্কিন সংবাদমাধ্যম ওয়াশিংটন পোস্ট এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বিজয়ী হওয়ার পর গত বৃহস্পতিবার ট্রাম্প রুশ প্রেসিডেন্টের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেন। ট্রাম্প ফ্লোরিডায় তার মার–এ–লাগো রিসোর্টে ছিলেন বলে জানানো হয়।
একাধিক সূত্রের নাম গোপন রেখে ওয়াশিংটন পোস্ট বলছে, ইউরোপের মাটিতে যুক্তরাষ্ট্রের ‘বিশাল সামরিক উপস্থিতির’ বিষয়টি পুতিনকে স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন ট্রাম্প। সূত্রটি জানিয়েছে, ইউক্রেনে চলমান যুদ্ধের সমাধানের লক্ষ্যে শিগগিরই পুতিনের সঙ্গে আবারও কথা বলা আগ্রহের কথাও ট্রাম্পের পক্ষ থেকে জানানো হয়।
এদিকে ট্রাম্পের ক্ষমতায় ফেরার মধ্য দিয়ে বছর তিনেক ধরে চলা ইউক্রেন যুদ্ধের রাশ টানার সম্ভাবনা নিয়ে আশাবাদ দেখা দিয়েছে। কেননা ট্রাম্প দ্রুত যুদ্ধ বন্ধের পক্ষে। এ ছাড়া কিয়েভের জন্য ওয়াশিংটনের পক্ষ থেকে দেওয়া কোটি কোটি ডলারের অর্থনৈতিক ও সামরিক সহায়তা নিয়েও ট্রাম্পের প্রশ্ন রয়েছে।