ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু, প্রতিরক্ষমন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্টসহ কয়েকজন সিনিয়র মিলিটারি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করতে পারে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত। এমন শঙ্কায় কূটনৈতিকভাবে পরিস্থিতি মোকাবিলার চেষ্টা করছে তেল আবিব৷
সোমবার এক ইসরায়েলি কর্মকর্তার বরাত দিয়ে এই তথ্য প্রকাশ করেছে এনবিসি নিউজ।গাজায় সামরিক অভিযান বন্ধ করার জন্য চাপ বাড়তে থাকার সময়ে এই খবর প্রকাশিত হয়।
গত ৭ অক্টোবর হামাস ইসরায়েলে হামলার পর থেকে ৩৪ হাজার ফিলিস্তিনি নাগরিককে হত্যা করেছে ইসরায়েল।
এদিকে রবিবার রাতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সাথে কথা বলেছে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু। যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে হামাসের প্রতিক্রিয়ার জন্য অপেক্ষা করছে বলে জানানো হয়।
ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হলেও কারাগারে যাবে না। ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিলের একজন মুখপাত্র বলেছেন, এই পরিস্থিতিতে আইসিসির কোনো এখতিয়ার নেই। আমরা এর তদন্ত সমর্থন করি না।
এদিকে শুক্রবার নেতানিয়াহু বলেছেন, আত্মরক্ষার নিজস্ব অধিকারকে খর্ব করার জন্য আইসিসির কোনো প্রচেষ্টা মেনে নেবে না ইসরায়েল। মধ্যেপ্রাচ্যের একমাত্র গণতন্ত্র ও বিশ্বের একমাত্র ইহুদি রাষ্ট্রের সৈন্য ও কর্মকর্তাদের জব্দ করার হুমকি আপত্তিজনক।
আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি) থেকে এনবিসি নিউজকে জানানো হয়েছে, ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের পরিস্থিতি বিবেচনার জন্য একটি স্বাধীন তদন্ত চলমান রয়েছে। এই বিষয়ে এখন মন্তব্য করা যাবে না।
২০১৪ সালে সংঘটিত হামাস-ইসরায়েল যুদ্ধে সম্ভাব্য যুদ্ধপরাধ ৩ বছর আগে তদন্ত শুরু করেছিল আদালত। এটি স্পষ্ট নয় যে শিগগিরই গ্রেফতারি পরোয়ানা আসছে, এবং হামাস নেতাদের বিরুদ্ধেও অভিযোগ রয়েছে।
আইসিসির প্রধান প্রসিকিউটর করিম খান ডিসেম্বরে ইসরায়েল ও ফিলিস্তিন পর্যবেক্ষণ করেছিলেন। তিনি বলেন, কঠোর ও ধীরভাবে তদন্ত করা হচ্ছে। আমরা আবেগের ভিত্তিতে নয়, বরং শক্ত প্রমাণের ভিত্তিতে তদন্ত করছি।