বাংলাদেশে ভারতীয় হাই কমিশনারকে তলব করে পাঠিয়েছিল। তবে এবার পাল্টা বাংলাদেশের হাইকমিশনারকে তলব করেছে ভারত।
সম্প্রতি বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বক্তব্য নিয়ে আপত্তি জানিয়েছিল ড. ইউনূসের সরকার। মুজিব কন্যার কথা সংযত করতে ঢাকার পক্ষ থেকে নয়াদিল্লিতে চিঠি পাঠানো হয়েছিল। চিঠিতে বলা হয়েছিল, হাসিনাকে উসকানিমূলক মন্তব্য থেকে যেন বিরত থাকতে বলা হয়।
শুক্রবার ভারতীয় সময় বিকেল ৫ টায় বাংলাদেশের হাইকমিশনার নুরুল ইসলামকে তলব করে সব স্পষ্ট করে দিয়েছে ভারত। এরপর সাংবাদিক বৈঠক করে বিদেশ মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেছেন, বাংলাদেশের সঙ্গে ইতিবাচক ও গঠনমূলক কূটনৈতিক সম্পর্ক রাখতে চায় ভারত।' পাশাপাশি এটাও স্পষ্ট করে দিয়েছেন যে, বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বক্তব্য একান্তই ব্যক্তিগত। এই বক্তব্যের নেপথ্যে ভারতের কোনো ভূমিকা নেই।'
এদিকে ঢাকার ধানমন্ডিতে বঙ্গবন্ধু মুজিবর রহমানের বাড়ি ভেঙে দেয় ছাত্র সমাজ। ক্রেন, বুলডোজার এনে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে বঙ্গবন্ধুর বাড়ি। বাড়ির চারতলা পর্যন্ত বেশিরভাগ অংশ ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। স্বৈরাচারের কোনো চিহ্ন রাখা হবে না, হুঁশিয়ারি বৈষ্যম্যবিরোধীদের। বঙ্গবন্ধুর বাড়ির দেওয়ালে বিভিন্ন জায়গায় লাল কালি দিয়ে লেখা হয়েছে, ‘স্বৈরাচারীরা সাবধান’।
ধানমন্ডি ৫ নম্বরে শেখ হাসিনার বাড়ি সুধা সদনও গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল। এছাড়া রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রাবাসে আওয়ামী লীগ ও শেখ হাসিনার নামের ফলকও খুলে নেওয়া হয়। চট্টগ্রামে ভাঙা হয় বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল। খুলনায় শেখ হাসিনার আত্মীয়দের বাড়িও বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।
ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের বাড়ি বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দেয়া হলো
ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে শেখ মুজিবুর রহমানের বাড়িটি বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। স্থানীয় সময় বুধবার প্রথমে ভাঙচুর তারপর বাড়িটিতে আগুন দেওয়া হয়।
বুধবার রাত পৌনে ৯টার দিকে বাড়িটিতে আগুন দেওয়া হয়। রাত ১২টার পরেও সেখানে আগুন জ্বলতে দেখা যায়।
রাত ৮টার দিকে ‘মার্চ টু ধানমন্ডি ৩২’ কর্মসূচি ঘোষণা করে বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা নানা স্লোগান দিতে দিতে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে জড়ো হয়। সেখানে সমবেত হয়ে ভাঙচুরের এক পর্যায়ে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয় শেখ মুজিবুর রহমানের বাড়িতে।
১০টা ৫৫ মিনিটে বুলডোজার নিয়ে আসা হয় এবং ১১টা ১০ মিনিটে বাড়িটি গুঁড়িয়ে দেওয়ার কাজ শুরু হয় এবং রাত ১১টা ৩৫ মিনিটে নিয়ে আসা হয় একটি এক্সক্যাভেটর।
এর আগে নিষিদ্ধঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের ভার্চ্যুয়াল অনুষ্ঠানে যুক্ত হয়ে অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভাষণ দেওয়ার ঘোষণার প্রতিবাদেই ছাত্র-জনতা ৩২ নম্বরের বাড়িতে জড়ো হওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়।